গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের উত্তর শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অভিাববক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তর ও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরারবে লিক্ষিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৭ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন (স্লিপ) খাত থেকে বিদ্যালয়ের অনুকুলে বরাদ্ধকৃত অর্থ কোন প্রকার কাজ না করে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। এছাড়া তিনি নিয়মিত স্কুলে যান না। প্রধান শিক্ষকের সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সখ্যতা থাকায় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেও কাজ হয় না।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করা হয়েছে সহকারি শিক্ষক ফিরোজা খাতুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন হতে ৩০ জুন ২০১২ইং পযর্ন্ত সিজারিয়ান আপারেশনের জন্য গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন অথচ উল্লেখিত তারিখে ছুটি না দেখিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বিদ্যালয়ের উপস্থিত দেখিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের নামীয় কৃষি জমি ও পুকুর গোপনে লিজ দিয়ে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্থানীয় নৈশ্য প্রহরীকে দিয়ে অভিভাবকদের অপমান অপদস্থ করেন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম দুর্নীতি, নিয়মিত সঠিক সময়ে স্কুলে না যাওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মের কারণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা সুযোগ নিচ্ছে। ফলে স্কুলে ক্লাসের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হলে, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামন চৌধুরী জেপ্রাশিঅ/গাই/২০১৭/২৩/১২ স্মারকের মাধ্যমে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি এক তদন্ত নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তদন্ত স্থগিত হয়ে গেলে হতাশ হয়ে পড়ে অভিভাবক মহল ।
তদন্তের বিষয়ে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রুত তারিখ নিধারণ করে তদন্ত সম্পন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিভাবক মহল দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।