একটু পর পর ফেসবুকের নোটিফিকিশেন বা টুইটার চেক না করলে আপনার অস্বস্তি লাগে? একটা দিন ফেসবুক ছাড়া কল্পনাও করতে পারেন না? তাহলে নিজের অজান্তেই মস্তিষ্কের বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি।
আগের চেয়ে আপনার অস্থিরতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দেখুন কমে গেছে অনেকখানি। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম নামের একটি জার্নাল জানাল এ কথা।
আগের গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের মগজে আছে দুটো কম্পার্টামেন্ট- এগুলো হলো কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল সিস্টেমস। জটিল ধরনের সমস্যার সমাধানে এ দুটো বিভাগ কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। এদের মধ্যে ভারসাম্য থাকাটা তাই জরুরি। কিন্তু নর্থ আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থীর ফেসবুক ব্যবহারের পরিমাণের ওপর গবেষণা-জরিপ শেষে গবেষকরা দেখলেন যারা উঠতে বসতে ক্লাসে, গাড়িতে ঘন ঘন ফেসবুক চেক করে অভ্যস্ত, তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় ঢের কমে গেছে। এমনকি রেজাল্টেও তারা পিছিয়ে।
এ কাজে গবেষকরা ডুয়েল সিস্টেম পারসপেকটিভ পদ্ধতির প্রয়োগ করেছিলেন। কগনিটিভ সাইকোলজি ও নিউরোসায়েন্সের সক্ষমতা পরিমাপের একটি স্বীকৃত পদ্ধতি এটি।