চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নামধারী এক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ৪ সাংবাদিককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চবি সাংবাদিক সমিতি।
চবি সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক রাহাত ও সাধারণ সম্পাদক রহমান শোয়েবর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রক্টর অফিসে এ অভিযোগপত্র দেন। প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবরে অভিযোগপত্র প্রদানের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার শিকার ৪ সাংবাদিক হলেন, চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের চবি প্রতিনিধি ফাহিম হাসান, আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের চবি প্রতিনিধি জয় দাশ, দৈনিক বণিক বার্তার চবি প্রতিনিধি মুমিন মাসুদ ও দৈনিক আমার সংবাদের চবি প্রতিনিধি মিরাজ বাপ্পি।
এব্যাপারে আহত সাংবাদিক জয় দাশ জানান, বৃহস্পতিবারে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আলাওল হলে ঢুকতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুকসহ একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনকে জানালেও তিনি কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান। পরে চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ফাহিম হাসান আমাদের উদ্ধার করতে এলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও চওড়া হয়। তিনি আরও জানান, ফারুক এর আগেও গত রমজান মাসে তাকে শাটল ট্রেনে মারধর করে। তখন বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন তার হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তারা আবার আমাদের টেনেহিঁচড়ে গেস্ট রুমে নিতে চায়।
অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।