লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পিকনিকের চাঁদা তুলতে না পাড়ায় প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষকের লাঠিপেটায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজার রহমান (৪৫) গুরুতর আহত হন। মঙ্গলবার সকালে আহত শিক্ষক আজিজারকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিসাৎধীন রয়েছেন।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম লিটন পিকনিকের চাঁদা তুলতে সহকারী শিক্ষক আজিজারকে অষ্টম শ্রেণির কক্ষে পাঠান। এসময় ওই শ্রেণির এক শিক্ষার্থী চাঁদা দিবে না বলে ওই শিক্ষককে জানান। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানলে তিনি ওই শিক্ষককের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস রুমে ডেকে নিয়ে দুই সহকারী শিক্ষক মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
আহত শিক্ষক আজিজার রহমান বলেন, স্কুলের শিক্ষকের চাকুরী ছাড়াতে বিভিন্নভাবে আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালান স্কুল প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম ও সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সিজান ও খলিলুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সিজান বেদম মারধর করেন। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এদিকে ঘটনার পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ওই স্কুলের শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন আহত শিক্ষককে।
এ বিষয়ে রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম ঘটনা অস্বীকার করেন বলেন, আমার ওপর হামলা চেষ্টা চালালে সহকারী দুই শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সিজান ও খলিলুর রহমান আমাকে রক্ষা করে। সহকারী শিক্ষক আজিজার রহমান একজন মানসিক রোগী। তাকে স্কুল না আসার জন্য বার বার বলা হয়েছে। তবুও সে স্কুলে আসে পাগলামী করে।
হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী শাহ্ জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছুই জানায়নি।