‘গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য সফল হবে না। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে না পারে, জনগণের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা না রাখতে পারে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কি হবে?
আর কেনইবা আমরা জনগণের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেব। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও আমরা জ্ঞান সৃষ্টির জন্যই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কিন্তু একটা শ্রেণি এটা ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। শিক্ষার নামে দেশের যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা করছে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বিশ্বায়নের এই যুগে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুনগত মান নিশ্চিত করা ও দেশ-জাতি-সমাজের সকল ক্ষেত্রে তার দৃশ্যমান ছাপ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘মেধার বিকাশ তখনই ঘটে যখন এর যথাযথ লালন ও উপযুক্ত স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বীকৃতি অর্জনকারীর পাশাপাশি স্বীকৃতিদাতাও সম্মানিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মেধার বিকাশে এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও সম্মানিত হলো’।
বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জাতির অন্যতম কৃতী সন্তান বলে উল্লেখ করে তাঁদের একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
দেশে বর্তমানে উদ্ভূত জঙ্গি সমস্যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বদা জঙ্গিবাদ রুখতে তৎপর আছি। তবে শুধুমাত্র আইন দিয়ে জঙ্গিবাদকে রুখা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন আইনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হকের সঞ্চালণায় ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জনকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, ৩ জনকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক ও ১ জনকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী এসব পদক প্রদান করেন। উপাচার্য তাদের স্বীকৃতিপত্র প্রদান ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনার্স, মাস্টার্স বা এমবিবিএস পরীক্ষায় অনুষদে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অধিকারীকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, দর্শন বিষয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারীকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক এবং এমবিবিএস (শেষ বৃত্তিমূলক, নিয়মিত) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরসহ চিকিৎসা অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারীকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।