জাতীয়করণের আওতাভুক্ত শিক্ষকদের বিসিএস ছাড়া ক্যাডার সার্ভিস না দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিসিএস কলেজ শিক্ষক সমিতি। তা না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান সমিতির সদস্যরা। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি এ দাবি ও আন্দোলনের কথা ব্যক্ত করেন।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কক্সবাজারের ইউনিট সভাপতি ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজ সমূহের শিক্ষকদের চাকরি বদলিযোগ্য হতে পারবে না। তাদের চাকরি স্ব স্ব কলেজেই সুনির্দিষ্ট হতে হবে। বিসিএস ছাড়া তাদের ক্যাডার সার্ভিস দেওয়া যাবে না। ’
তিনি আরো বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভূত রেখে তাদের নিয়োগ, পদায়ন, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, পরিচালনা ও চাকরির জন্য স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মফিদুল আলম বলেন, ‘ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মকর্তারা একটি অভিন্ন প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশে–বাংলাদেশ ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস ১৯৮০ এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর আওতায় সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্তপূরণ করে প্রারম্ভিক,লিখিত, মনস্তাত্বিক, মৌখিক, স্বাস্থ্যগত ও নিরাপত্তাগত- ৬টি প্রতিযোগিতামূলক ধাপ পার হয়ে বিসিএস ক্যাডার অফিসার পদে যোগদান করেছেন। আর বিসিএস না হয়ে বিসিএস ক্যাডারের সুবিধা নেবেন, তা মানা হবে না। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে সারা দেশের শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১৫ হাজার সদস্যকে সাথে নিয়ে নানা রকম কঠোর কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে আন্দোলন করতে বাধ্য হব। ’
সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কর্মকর্তা কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মীর জাফর আহমদ, উপাধ্যক্ষ একে এম ফারুখ আহমদ, সহযোগি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সহকারি অধ্যাপক আবুল মনসুর, সহকারি অধ্যাপক মুজিবুল আলমসহ কক্সবাজার সরকারি কলেজ ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।