নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত নতুন নীতামালা অনুমোদনের দুইমাস পরও সাধারণ সদস্যদের কাছে উপস্থাপন না করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির অফিসে তালা দিয়েছেন সদস্য এস এম সাদাত হোসেন। মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি এই তালা দেন।
এ সময় তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সমিতির আরো ৪ সদস্য মো. আজিম উদ্দিন, নূরে কামাল পিঙ্কু, মো. সেলিম মিয়া ও এলিজা সুলতানা পদত্যাগ করেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় অফিসার নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তা অফিস আদেশ হিসেবে প্রচার করা হয়। ওই নীতিমালায় বেতন কাঠামো ও পদোন্নতিতে অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কর্মকর্তারা।
পরে ওই নীতিমালা দিয়েই কর্মকর্তাদের পদন্নোতি দেওয়া শুরু হয়। একই সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বিভিন্ন অফিস প্রধানের কাছে এ বিষয়ে মতামত চায় প্রশাসন।
প্রদত্ত মতামতের ভিত্তিতে গত মে মাসের সিন্ডিকেট সভায় সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। নীতিমালায় কি সংশোধন হয়েছে সে বিষয়েও জানেন না কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সঠিক রয়েছে বলে ভুল বুঝানো হচ্ছে।
দুইমাস আগে নীতিমালাটি অনুমোদন হলেও এখনো পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হয়নি। তাই কার্যালয়ে তালা ঝুলানো হয়েছে। নতুন নীতিমালা সবার সামনে উন্মোচন না করা পর্যন্ত কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকবে।
তবে সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, দুই মাস আগে অনুমোদন দেওয়া হলেও সংশোধিত নীতিমালা গত ৮ আগস্ট অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ভিসি স্যার স্বাক্ষর করেছেন, শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে। চার সদস্যকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুই একদিনের মধ্যেই নীতিমালা প্রকাশ করা হবে।