সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে (টিটিসি) সাধারণ সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন কেন অবৈধ হবে না – তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ই জানুয়ারি)বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লা সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ.বি.এম সিদ্দিকুর রহমান খান।
রিট পিটিশনে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে সাধারণ কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ (৯ জন) বর্তমান পদে কীভাবে অবস্থান করছেন তা চ্যলেঞ্জ করে যাদের বিবাদী করা হয়েছে, তারা হলেন- একেএম নাসির উদ্দিন (অধ্যক্ষ, টিটিসি, ময়মনসিংহ), মো: ম্ঈনউদ্দীন (উপাধ্যক্ষ, টিটিসি, ময়মনসিংহ), নারায়ন কুমার কুন্ডু (অধ্যক্ষ, টিটিসি, রংপুর), খালিদা আক্তার(অধ্যক্ষ, টিটিসি, কুমিল্লা), আ.ন.ম সামছুল হক (অধ্যক্ষ, টিটিসি, বরিশাল), মিছবাহ উদ্দিন আহমেদ (অধ্যক্ষ, টিটিসি, সিলেট), চৌধুরী মামুন আকবর (উপাধ্যক্ষ, টিটিসি, সিলেট), রুপেশ চন্দ্র চৌধুরী (অধ্যক্ষ, টিটিসি, ফরিদপুর) ও দিলরুবা আক্তার চৌধূরী (উপাধ্যক্ষ, টিটিসি, চট্রগ্রাম)।
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ৭ম বিসিএস এর সাবেক দুজন পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষক এম. এম আমিনুল রশীদ ও এস. এম শামসুজ্জামান রিট পিটিশন করেন।
রীটকারীদের অন্যতম এম.এম আমিনুল রশীদ বলেন, ৭ম বিসিএসে বাংলা বিষয়ের সাধারণ শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে প্রফেসর বা অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ সেইসময় ১৪তম বিসিএস ও অন্যান্য জুনিয়র ব্যাচের সাধারণ কলেজের শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়েছেন। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন। এভাবে আমাকে সহ ৭ম বিসিএস ব্যাচের ১০ জনকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়। বর্তমানেও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষকদের নিয়মিত বঞ্চিত করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮১ অনুসরণ না করে সাধারণ কলেজের বি.এড/এম.এড ডিগ্রী বিহীন শিক্ষকদের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে ঢালাওভাবে পদায়ন করা হচ্ছে। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপযুক্ত শিক্ষকরা পদায়ন ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে একটি বিশেষায়িত কলেজ বিবেচনায় না নিয়ে ঢালাওভাবে সাধারণ কলেজের শিক্ষকদের পদায়নের ফলে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মান দিন দিন অবনতি হচ্ছে। টিচার্স ট্রেনিং কলেজে পদায়ন ও পদোন্নতিতে কর্তৃপক্ষের সেচ্ছাচারিতার কারণে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।