জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্তির বিরোধীতা করে দায়ের করা রিটের শুনানী শেষে তিন আইনজীবী-শিক্ষাবিদকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তিন অ্যামিকাস কিউরি হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল উল আলম।
দুই সপ্তাহ আগে আদালত সরকার ও রিটকারীদের কাছ থেকে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের জন্য নাম চেয়েছিলো। নিয়োগ পাওয়া তিনজনই রিটকারীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবত করা।
অপরদিকে, সরকার পক্ষ থেকে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিলো। তারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো: ফরাসউদ্দীন, বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো: ফিরোজ মিয়া।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষে করা রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, সরকার ২০০০ সালে তৈরি করা বিধান অনুযায়ী জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকদের আত্তীকরণ করছেন। এ বিষয়ে একটি পক্ষ রিট করেছেন। এ রিটের শুনানিতে আদালত তিন জনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ অ্যামিকাস কিউরিদের পৌঁছে দিতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, আইন অনুসরণ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের নিয়োগ না দিতে ২০১৬ সালে একটি রিট করা হয়। ওই রিটে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল শুনানিতে মতামতের জন্য হাইকোর্ট তিনজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে তৈরি করা আত্তীকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ করে আসছে সরকার।