বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির হোসেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করা হয়েছে। তিনি প্রায় তিন বছর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাদ্রাসা শাখার এডি ছিলেন। দুর্নীতির দায়ে তাঁকে পিরোজপুর কলেজে বদলি করেন সাবেক শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে নাসির, নুরে আলম সিদ্দিকী, তানবীর, সাধন কুমারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার আদেশে দিয়েছিলেন এন আই খান। কিন্তু নাসিরকে রক্ষায় চেষ্টা করেন সাবেক মহাপরিচালক। শুধু বদলিতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
আলোচিত ২৭৩ এমপিও জালিয়াতির তদন্ত করছে দুদক। এজন্যই মাদ্রাসার উপ-পরিচালক আবুল হোসেন, মাদ্রাসার শাখার প্রধান সহকারি করিমূল হক [পিআরএল] ও অফিস সহকারী মাহবুবকেও ডেকেছে দুদক।
নাসিরকে মাদ্রাসা শাখায় বদলি করে আনতে ভূমিকা রেখেছে মাসুমে রব্বানী খান ও বশির। মাসে মাসে মাসোহারা দিতে হতো মাসুম বশিরকে। মাদ্রাসা শাখার কর্মচারীরা বলেছেন, নাসির অন্তত ১০ কোটি টাকা কামিয়েছেন তিন বছরে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসেই তিন হজার পাঁচশ জনকে এমপিওভুক্তি করিয়েছেন। জনপ্রতি ৪ লাখ টাকা করে নেয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
পিরোজপুরে বদলির আদেশটিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজে পদায়নের আদেশটিও ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। এই না দেয়ার পেছনেও টাকা খরচ করেছেন নাসির। অবৈধভাবে রোজগার করা টাকা দিয়ে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন করেছেন এবং মাসুমের নির্বাচনী খরচ যুগিয়েছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের মাদ্রাসা শাখায় যোগদানের আগে নাসির খিলগাওয়ের ভাড়া বাসায় থাকতেন। একবছর চাকরির পর তিনি দৈনিকশিক্ষাকে বলেছেন যে, তার শ্বশুরবাড়ী থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন এবং সেই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করবেন শিগগিরই।