উপজেলা পর্যায়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানার অভিযোগ উঠেছে। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন ও পৌর শহরের বাইরে কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হলে এক কলেজ থেকে অন্য কলেজের চারপাশে দূরত্ব হতে হবে ছয় বর্গকিলোমিটার এবং ওই অংশের জনসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ৭০ হাজার। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এ নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাশাপাশি কবাই, চরামদ্দি ও দুধল ইউনিয়নে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৬টি। এ ছাড়া কবাই ইউনিয়ন আইডিয়াল মহিলা কলেজ নামে নতুন একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরও পার্শ্ববর্তী দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠী গ্রামে জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কবাই ইউনিয়নের পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ এবং দুধল ইউনিয়নের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেজিএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দূরত্ব প্রস্তাবিত জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ থেকে যথাক্রমে পাঁচ ও তিন কিলোমিটার। পূর্বদিকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে দুধল ইউনিয়নের চন্দ্রদ্বীপ কলেজ। একই দূরত্বে রয়েছে চরাদী ইউনিয়নের আইডিয়াল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও আতাহার উদ্দিন হাওলাদার ডিগ্রি কলেজ।
কবাই ইউনিয়ন আইডিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু কাওসার জানান, নীতিমালা অনুযায়ী কোনোভাবেই জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ নেই।
অভিযোগ আছে, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তারা বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে দূরত্বের সনদ এবং জেলা পরিসংখ্যান দপ্তর থেকে জনসংখ্যার সনদ অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করে কলেজটির অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউল হক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নীতিমালা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা যায় কি-না, তা সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমি প্রস্তাবিত জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজের স্থান পরিদর্শন করেছি। বাস্তবে যা আছে সেই চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে কি দেবে না, সেটি একান্তই মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত।’