এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশের কক্ষেই উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছে সরকারি কলেজ অধ্যক্ষদের সম্মেলন। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আজ সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ সম্মেলনে বক্তৃতা করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। দীর্ঘ সময় বক্তৃতা দিয়েছেন মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো: এলিয়াছ হোসেন। পরীক্ষাশেষে দুপুর আড়াইটায় উপস্থিত হন শিক্ষামন্ত্রী।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা দৈনিকশিক্ষাকে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। যেখানে কেউ সমাবেশ বা মাইক বাজাতে পারেন না। কিন্তু মাইকের উচ্চস্বরে পরীক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটিয়ে পরীক্ষা কক্ষের ১০ গজের মধ্যে সম্মেলন করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার প্রশাসকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা ও প্রধান আয়োজক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান সাড়ে তিন বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে ছিলেন। তিনি পাবলিক পরীক্ষার সব নিয়ম-কানুন জানেন। অথচ তিনিই শত শত এসএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যাঘাত ঘটিয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করলেন!
এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান দাবী করেন, ‘তারা চেষ্টা করছেন যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অধ্যক্ষদের গাড়ী, আবাসন, শিক্ষক ও মর্যাদার সংকটসহ ৫০ সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য আজ ঢাকায় ‘মানসম্পন্ন শিক্ষা’ বিষয়ে অধ্যক্ষ সম্মেলন ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন। পুরনো ৩২৯ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নতুন জাতীয়কৃত কলেজ অধ্যক্ষরা আমন্ত্রণ পায়নি। কলেজ অধ্যক্ষদের দ্বিতীয় সম্মেলন এটি। এর আগে গত বছরের ৩০ এপ্রিল প্রথম সম্মেলনে শিক্ষক সংকট, প্রয়োজনীয় শিক্ষকের পদ না থাকা, রাজনীতিসহ ২৫ ধরণের সমস্যা তুলে ধরেছিলেন অধ্যক্ষরা। বিগত এক বছরে সেসবের কোনো কিছুই দূর হয়নি বলে জানা গেছে।