জন্ম থেকে দুই হাত নেই। দুই পায়ের মধ্যে বাম পা প্রায় ৬ ইঞ্চি খাটো। কিছুটা চিকন। এছাড়াও নাক ও ঠোট ছিল কাটা। অপারেশনের মাধ্যমে নাক ও ঠোঁট অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়। তবুও ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য চলছে তার সংগ্রাম। চলতি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখেই এ প্লাস পেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক রহমান।
ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মানিক ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে। সে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে নর্থ বেঙ্গল কিন্টারগার্ডেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল সোসাইটি থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় শতকরা ৯০ ভাগ নম্বর পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মোছা: ময়িরম বেগমের ছেলে মানিক।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে জন্মের পর থেকেই সে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।