বিশ্ব প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকৌশলীদের প্রতি এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব কিভাবে, কোন প্রযুক্তিতে চলছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। অর্জিত জ্ঞানকে সৃজনশীলতার মাধ্যমে ব্যবহার করে প্রকৌশলীদের এগিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন দিবস ইটিই ডে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, চুয়েট বিশ্বমানের প্রকৌশলী তৈরির জন্য সদা সচেষ্ট। ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামনের দিকে তাকাতে হবে।তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক প্রচেষ্টা আরও সফল হবে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে এ খাতে। এ বিষয়টি লক্ষ্য রেখে চুয়েটে চার বছর আগে ইটিই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার স্বল্প সময়ের মধ্যে এ বিভাগের অগ্রযাত্রা দেখে আমরা আশান্বিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ইসিই ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। বক্তব্য রাখেন কুয়েটের ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসাইন, গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের লিড ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহিত চৌধুরী, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রেডিও প্ল্যানিং ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন ফয়সাল, গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার আসিফ আহমেদ খান ও ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল আলম।
সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ইটিই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: আজাদ হোসাইন। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইটিই ১২ ব্যাচের অতীশ ভট্টাচার্য ও ১৫ ব্যাচের আলী আমজাদ তপু। সঞ্চালনায় ছিলেন ইটিই বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়া মাহমুদ।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল আনন্দ র্যালি, পোস্টার সেশন, প্রজেক্ট শো, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ইত্যাদি।