পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির রুদ্রপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত কলেজছাত্রী ফাতেমাকে ৬ দিন পর পুলিশ জোর করে থানায় নিয়ে আসেন। সোমবার রাতে এসআই সঞ্জিত কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই তরুণীকে থানায় আনার পরে মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছেন।
পরে আদালত কলেজছাত্রী ফাতেমাকে তার বাবা মুজিবুর খলিফার জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে। ফাতেমার কথিত প্রেমিক পলাতক শফিকুল ইসলাম মিরাজের বাবা কালাম মৃধার অভিযোগে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসেন বলে জানান এসআই সঞ্জিত।
অপরদিকে ফাতেমার বাবা মজিবর খলিফার অভিযোগ তার মেয়ের কোনো কথা না শুনেই পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময় মিরাজের বাড়ি থেকে ফাতেমাকে জোর থানায় নিয়ে আসেন।
মজিবর খলিফার অভিযোগ তার মেয়েকে শফিকুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারিত করে এলেও পুলিশ সে কথা আমলে নেয়নি। অবশ্য টাকা পয়সা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এসআই সঞ্জিত কুমার।
জানা গেছে, একই গ্রামের শফিকুল ও ফাতেমা রাজবাড়ী কলেজে পড়ালেখার সুযোগ গত দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্র্রতি শফিকুল তাদের সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে থাকলে ১৭ আগস্ট ফাতেমা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের ঘরে উঠে বসেন।
সেদিনই শফিকুল ইসলাম মিরাজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর মিরাজের বাবা নানা কৌশলে ফাতেমাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তবে এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন মেয়েটি অনেকদিন ধরে ওই বাড়িতে উঠে বসে আছে এবং তাছাড়া একটি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
সে কারণে ফাতেমাকে আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করতেই তাকে মহিলা পুলিশ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।