ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের কনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কনেশ্বর এসসি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন ও কনেশ্বর আলহাজ আলী আহম্মদ দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন কনেশ্বর বাজারের মেইন সড়কে শুকাতে দেওয়া জর্দার কারখানা মনিকা কেমিক্যাল কোম্পানির কাঁচামাল তামাক ও প্রক্রিয়াকৃত তামাক দ্রব্যের গন্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয় বসবাসরতদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মনিকা কেমিক্যাল কোম্পানির ‘শরীয়তপুরী জর্দা’ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কনেশ্বর বাজারের মেইন সড়কে জর্দা তৈরির কাঁচামাল রোদে শুকাতে দেয়। এই জর্দার কাঁচামালের দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বাজার ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয়রা কাশি, যক্ষ্মা, আমাশয়, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
শত বছরের পুরনো কনেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মাদবর বলেন, জর্দার দুর্গন্ধে দোকান বন্ধ করে রাখতে হয়। দুর্গন্ধে দোকান করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রায়ই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই যেদিন জর্দা রোদে না দেয় সেদিন আমরা দোকান করি। পথচারী আবু হালেম, সোহেল ফকির, মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। জর্দার দুর্গন্ধে আমাদের পেট ফুলে যায়।
কনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা ইয়াসমিন বলেন, আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কনেশ্বর বাজারের সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়িত আসা-যাওয়া করে। জর্দার দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ের অনেক শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুসা খান বলেন, তামাক বা জর্দার গন্ধে শ্বাসকষ্ট, কাশি, আমাশয়, চোখের রোগ কিংবা যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এ রোগগুলোতে বেশি আক্রান্ত হয়।