ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ বাণিজ্য! - দৈনিকশিক্ষা

ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ বাণিজ্য!

পাবনা প্রতিনিধি |

বেড়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার সেরা প্রতিষ্ঠান আলহেরা একাডেমি (স্কুল এন্ড কলেজ)সহ প্রায় পাঁচটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ, রসায়ন, জীব, গণিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতি বিষয়ের ব্যবহারিক খাতা বাবদ ১০০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ পৃথকভাবে ২০০ টাকা করে পরীক্ষার্থী প্রতি মোট প্রায় ১২০০/১৩০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আর ধার্যকৃত টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অথবা কম নম্বর দেওয়ার হুমকিসহ ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর না করার অভিযোগও উঠেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের এই হুমকিতে অনেক গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।

একাধিক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘ফরম ফিলাপের সময় যাবতীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও আমাদের কাছ থেকে শিক্ষকরা জোর করে অর্থ আদায় করছেন।’

কাশীনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অভিভাবকরা জানান, ‘ওই কলেজের তথ্য ও প্রযুক্তির শিক্ষক মাসুদ বিন আমিন বিপ্লব কলেজের ছবিসম্বলিত খাতা প্রেস থেকে ছেপে ছাত্রীদের কাছে বাধ্যতামূলক তিনশ’ টাকা করে বিক্রি করছেন। ওই খাতা না কিনে বাজারের খাতা কিনলে কম নম্বর দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।’ অভিভাবকরা আরো জানান, এই জাতীয় ব্যবহারিক খাতা বাজারে মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিক্ষক মাসুদ বিন আমিন বিপ্লব বলেন, ‘বাইরের যে শিক্ষকরা পরীক্ষক হয়ে আসেন, তাদের আপ্যায়ন ও যাতায়াতের জন্য এ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ খাতা তৈরি করে বিক্রির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

আলহেরা একাডেমির অধ্যক্ষ মকসুদ আলম চৌধুরী ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে আদায়কৃত অর্থের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল গণি বলেন, ‘যে পরীক্ষক ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা দেখবেন, তাদের জন্য টাকা তোলা হয়েছে। এটা সব কলেজেই কমবেশি নিয়ে থাকে।’

বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। তারপরেও যদি কোন কোন শিক্ষক অর্থ আদায় করে, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051369667053223