দশ মাস আগের বরগুনার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্র রবিউল আউয়াল হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য একটি ধারায় তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে, যা অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাভোগ করতে হবে। বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ আবু তাহের মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
দণ্ডিত মিরাজ হোসেন (৪৫) সোনাকাটা ইউনিয়নের ছোট আমখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ৩ অগাস্ট রাতে খালে পেতে রাখা জালের মাছ চুরির অভিযোগ তুলে ছোট আমখোলা গ্রামের দুলাল মৃধার ছেলে রবিউলকে (১০) পিটিয়ে হত্যা করে তার লাশ পাশের খালে ফেলে রাখেন আসামি মিরাজ। পরদিন বিকালে লকরার খালে রবিউলের লাশ পাওয়া যায়।
ওই আদালতের এপিপি আখতারুজ্জামান বাহাদুর জানান, ওই ঘটনায় ৫ অগাস্ট রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা বাদী হয়ে তালতলী থানায় মিরাজকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৬ অগাস্ট মিরাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২৩ অগাস্ট মিরাজকে একমাত্র আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয় বলে জানান তিনি।
এই মামলায় রবিউলের বাবা-মা, পুলিশ, ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ মোট ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।রবিউল আউয়াল স্থানীয় ফরাজী বাড়ি দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। রবিউলের বড় বোন খাদিজা দশম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট বোন জান্নাতি সবে হাঁটতে শিখেছে। তালতলীর ফকিরহাট বাজারে রবিউলের বাবা দুলাল মৃধার খুচরা যন্ত্রাংশের একটি দোকান আছে।