বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৭৩নং আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। যে কোন সময় ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। সংস্কার আর শ্রেণিকক্ষের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দৈন্যদশায় পড়ে আছে ভবনটি।
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়। নির্মাণের বছর দুই যেতে না যেতেই পলেস্তরা খসে খসে পড়তে শুরু করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মূহুর্তে ধসে পড়তে পারে। সামনের বারান্দার সবকটি পিলার পুরোটাই ভেঙ্গে গেছে। পলেস্তরা পড়ে পড়ে সব জায়গার রড দৃশ্যমান। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে জলছাদ সংস্কারের জন্য মাত্র ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয়। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে লেট্রিন সংস্কারের জন্য ১৯ হাজার ৫ শ’ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্ধ হয়। বর্তমানে তাও প্রায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। এ বিদ্যালয় থেকে নিকটবর্তী বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। যার কারণে শিক্ষার্থীরা অন্যত্র যেতেও পাড়ছেনা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় টিন সেটের বারান্দা দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। ঠাসাঠাসি করে মাটির ফ্লোরে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বৃষ্টির সময় ক্লাস করা সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে ক্লাস ছুটি দিতে হয়। পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষকরা এখনো অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক তাপস কুমার মন্ডল জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় একটি ভবন হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না।