বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারু ও কারু কলার সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তদন্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঘটনার তদন্ত করেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুরুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার রুবাইয়া তাসনিম।
এসময় শিক্ষার্থীরা সকল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ উপস্থাপন করেন তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট। তবে শিক্ষার্থীদের লেখায় অবাক করা অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দীর্ঘ দিনের পুষে রাখা কষ্টের কথাগুলো অকপটে তারা উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ দিনের চলমান এই সমস্যা শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিয়েও এর কোন প্রতিকার মেলেনি।
অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকও উপস্থিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট তার লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।
তদন্তের সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহমেদ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু সহ অন্যান্য শিক্ষক, সাংবাদিক এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা।
ওই শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক জাহিদুল এসব হয়রানির ঘটনা ঘটালেও লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন মুখ খোলেননি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।
সম্প্রতি শ্রেণি কক্ষে তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করলে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকসহ বরগুনার জেলা প্রশাসক ড. মহা. বশিরুল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ঘটনার তদন্ত করেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং সহকারী কমিশনার।