আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে সর্বাধিক সুবিধা নেওয়া নেতাদের সংগঠন ‘জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট’ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষণা করবেন বলে আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করেছেন।
ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করা হয়, ‘শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন অর্জন সত্ত্বেও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের বেলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সময়োচিত ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।’
সদ্য চালু করা এনজিওর মালিক ও শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত প্রস্তাবে অবিলম্বে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অষ্টম পে-স্কেলে বেতন ভাতা প্রদানের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা, নিয়মিত পদোন্নতি, যোগ্য শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও প্রদান নীতিমালা প্রকাশ, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, চালুকৃত বিভিন্ন নতুন বিষয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতকরণ, কর্মচারীদের চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের কমিটি প্রসঙ্গে সভায় বক্তাগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে শেখ অধ্যক্ষ হয়েছিলেন কাজী ফারুক।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ধরা পড়ার পর চাকুরিচ্যুত হন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। লাখ লাখ টাকা এদিকসেদিক করায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটির সদস্য হয়ে সরকারি টাকায় জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর বিলাত গমন করেন স্বপরিবারে। তবে, তার কোনও পরামর্শ শিক্ষানীতি কমিটির কাজে লাগেনি।
শিক্ষকদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য-সচিব থাকাকালে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ধরা পড়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের কপি দৈনিকশিক্ষাডটকমের হাতে রয়েছে।