দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২ নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঋশিতাকে আহত করার ৩ মাসেও বিচার পায়নি তার পরিবার। বিচার না পেয়ে অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর পিতা অভিযুক্ত শিক্ষিকা শ্রীমতি বিভা রানাীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনার পর হতে ভয়ে-আতঙ্কে ওই শ্রেণির মেধাবী ফেন্সি রায়(রোল নং ১) সেদিন থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ বুধবার পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঋশিতা বালা (১০) কে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ক্লাসের পড়া না হওয়ার অপরাধে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্রীমতি বিভা রানী (২৬) বাঁশের শক্ত কঞ্চি দ্বারা পিঠে ও বাম বাহুর পিছনে একাধিক আঁঘাত করে রক্তাক্ত কালশিরা জখম করলে সে স্কুলের ক্লাস রুমেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় মামলার ৪-৫ নং স্বাক্ষী ঋশিতার সহপাঠি শ্রী কাজল রায় (১০) ও শ্রীমতি ময়নামতি রায় (৯) এর সংবাদের ভিত্তিতে ঋশিতার পিতা অত্র মামলার বাদী শ্রী পরিমল চন্দ্র রায় এবং তার মা শ্রীমতি বনিতা রানী স্কুলের ক্লাস রুম থেকে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাদি ও তার স্ত্রী মেয়ের মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ্য করে অটো যোগে বিরামপুর উপজেলা শহরের শালবাগান্থ ডা. সোলায়মান আলী এমবিবিএস এর চেম্বারে চিকিৎসা নিয়ে সনদ গ্রহণ করেন।
বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে ঋশিতার পিতা বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভাগীয়সহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় বরাবর ন্যায় বিচারের আবেদন করেন। কিন্তু আসামী পক্ষ্য প্রভাবশালি মহলের সহযোগিতায় ঘটনার প্রকৃত বিষয়ের তদন্ত বন্ধ করে দেন। শিক্ষার্থীকে পিটানোর বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক মহল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।
ওই নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পিতা প্রশাসনসহ প্রাথমিক শিক্ষা সেকশনের অফিস ও ভিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয় বিরামপুর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে থানা অফিসার ইনচার্জ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঋশিতা বালাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত কালশিরা যখমের অভিযোগে উপজেলার দক্ষিণ হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিভা রানীর বিরুদ্ধে ও শিক্ষার্থীর পিতা শ্রী পরিমল চন্দ্র রায় বাদি হয়ে ১৪ জুন ২০১৬ইং জেলা দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-৬ এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘ তিন মাস ৭দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের স্কুলে ফিরিয়ে নেওয়া কোন উদ্যোগ নেই স্কুলর শিক্ষক, কমিটির সদস্যদের। ঋশিতা ও ফেন্সি রায় স্কুলে গিয়ে লেখা পড়া করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সেই সাথে ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না করতে প্রশাসনসহ প্রাথমিক শিক্ষা সেকশনের প্রতি আকুল আবেদন জানিছেন।