জুনিয়র সহকর্মীর ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণে সংক্ষুব্ধ শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক। জুনিয়র কর্মকর্তা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার সহকারি পরিচালক। ১৮তম বি সি এস’র মাধ্যমে যোগদান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিতে দীক্ষা নেয়া এই সহকারি পরিচালক অধুনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্তাদের সুনজরে থাকার সুবাদে দাপট দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের জেলা সিলেটে। এই সহকারি পরিচালকের নিজ জেলাও সিলেট। এলএসবিই নামে শিক্ষামহলে পরিচিত ইউনিসেফের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ কাজের কেনাকাটাসহ সব কাজই এই সহকারি পরিচালকের কব্জায়। গত বছর কোটি টাকার কেনাকাটা ছিল এখানে। একই শাখায় আরো তিনজন সহকারি পরিচালক থাকলেও আলোচ্য সহকারি পরিচালক একাই সামলাচ্ছেন পুরো বিষয়টি। সম্প্রতি এই শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম তালুকদার আলোচ্য সহকারি পরিচালককে এই মর্মে পরামর্শ দেন যে, শাখার অপর তিনজন সহকারি পরিচালকের সঙ্গে মিলেমিশে এলএসবিই’র কাজটি যেন করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হন ওই সহকারি পরিচালক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিচালকের টেবিলে সজোরে থাপ্পড় মারেন এই সহকারি পরিচালক। সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন তার সঙ্গে রয়েছে ১৮/১৯ তলায় ভালো যোগাযোগ!
ঘটনার পরপরই ১৯ তলার সচিবকে বিষয়টির আদ্যোপান্ত জানান শফিকুল ইসলাম তালুকদার। প্রতিক্রিয়ায় দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষা অধিদপ্তরের সভায় যোগ দিয়ে ১৯ তলার সচিব উপস্থিত সবাইকে এই মর্মে স্মরণ করিয়ে দেন যে, “কতিপয় জুনিয়র কর্মকর্তা কাজের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে যাতায়াতের সুবাদে উর্ধবতন কর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। কিন্তু এই যোগাযোগের অপব্যবহার কেউ করবেন না। সিনিয়রদের হুমকি দেবেন না।”
১৫দিনেও কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না হওয়ায় মনের দু:খে কলেজে বদলি হওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন পরিচালক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শফিকুল।
শফিকুল ইসলাম একজন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা।
খবরের সূত্র নাম প্রকাশে অনিচছুক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা।