নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণে জুলাই মাসের বেতন পাননি ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮১ জন শিক্ষক।
রোববার (১৩ই আগস্ট) বিকেল ৪টার সময়ও অনেক শিক্ষককে বেতন প্রদানকারী সোনালী ব্যাংক বড়াইগ্রাম শাখার নিচে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এদিকে সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব থাকায় হিন্দু ধর্মের শিক্ষকরা বেতন না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিমাসের ৩ তারিখের মধ্যে বেতন পেয়ে থাকেন শিক্ষকরা। কিন্তু চলতি মাসে শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারি হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগীদের ভুলের কারণে মাসের ১৩ তারিখ পার হলেও বেতন পাননি তারা।
শিক্ষা অফিস থেকে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও ব্যাংকে বেতনের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রদানের ক্ষেত্রে বারবার গরমিল করায় বেতন প্রদান করছে না ব্যাংকগুলো।
বেতনের জন্য ব্যাংকে অপেক্ষারত শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা অফিসের বড়বাবুর (উচ্চমান সহকারি) কাজই হচ্ছে শিক্ষকদের বেতন বিল ঠিক করে প্রতিমাসে ব্যাংকে জমা দেওয়া। তার কেন এই কাজে ভুল হবে, তার ভুলের জন্য আমরা কেন কষ্ট পাব?
এ বিষয়ে উচ্চমান সহকারি হাবিবুর রহমান বলেন, জুলাই মাসে নতুন ইনক্রিমেন্ট যোগ হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সংশোধনী থাকায় বেতন বিল তৈরিতে দেরি হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তা ঠিক হয়ে যাবে।
শিক্ষা কর্মকর্তা আকলিমা খানম বলেন, শিক্ষকদের বেতন বিল অফিস সহকারিরা তৈরি করে। তাদেরকে বলেছি দ্রুততার সাথে সমস্যার সমাধান করতে।