আরফিনা আক্তার, বাবা আজিজুল ইসলাম অনেক আশা নিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে অংশ গ্রহণ করতে চেয়েছিল এবারে জেডিসি পরীক্ষায়। রেজিষ্ট্রেশন, ফরম পূরণ এবং প্রবেশপত্র তোলার সময়ও টাকা দিয়েছিল। তারপরেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের খেয়ালিপনার কারণে ভেস্তে গেল পরীক্ষার দেওয়ার স্বপ্ন। পিছিয়ে গেল একটি বছর। শুধু আরফিনা নয় আইরিন, সুমন, তরিকুলসহ মোট ৭ জন জেডিসি পরীক্ষার্থী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
জানা গেছে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নে অবস্থিত গোলনা ফাযিল মাদ্রাসার ১৪০ জন জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা খাকলেও পরীক্ষা দিচ্ছে ১৩৩জন।
পরীক্ষা দিতে না পারা আইরিন জানান, রেজিস্ট্রেশনের সময় ৩’শ টাকা, ফরম পূরণ বাবদ ৫’শ টাকা এবং প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় ১৫০ টাকাসহ মোট ৯৫০ টাকা দিয়েছি শুধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। শত ভাগ প্রস্তুতি ছিল। সেই অনুযায়ী গত শনিবার আমাকে অন্য মেয়ের প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে মাদ্রাসার হুজুররা এসে সেই অন্য নামের প্রবেশপত্রটি ঠিক করবে বলে নিয়ে যায়। আজ পরীক্ষার দিন পরীক্ষা সেন্টারে গিয়ে প্রবেশপত্র না দেওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারিনি।
অভিভাবক আজিজুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে আরফিনা নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত। অন্য নিয়মগুলো সঠিকভাবে পালন করত। তারপরেও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও তার কিছু সহযোগীর কারণে আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারলো না।
এ বিষয়ে গোলনা ফাযিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আলমের সাথে যোগাযোগা করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক জানান, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি সত্য। বিষয়টি দুঃখজনক যে, ৭ জন শিক্ষার্থী একটি বছর পিছিয়ে পড়লো। তবে বিষয়টি তদন্ত করে অধ্যক্ষ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।