শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কি চিন্তা করছে? - Dainikshiksha

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কি চিন্তা করছে?

মাছুম বিল্লাহ |

বিগত এক দশকে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বেশ গুরুত্ব পেয়ে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষায় অগ্রগতি (!) অর্জনের পর সরকার এবং বেসরকারী সংস্থাগুলোর  দৃষ্টি এখন মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের দিকে। সরকারের টিকিউআই, সেকায়েপ, এসইএসডিপি প্রজেক্টসমূহ তার প্রমান। এই পর্যায়ের শিক্ষা উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বিভিন্ন ধরনের সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মতবিনিময় সভা প্রায়ই আয়োজন করে থাকে।

তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ ও ২৬ নভেম্বর ২০১৬  কক্স্রবাজারে শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় একটি কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা এবং কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা একটি প্রশংসনীয় বিষয়। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কিছু বিষয় বাদ দেয়া, অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া, প্রশ্ন ব্যাংক তৈরিসহ ১৫ দফা সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।  দেশের নামকরা শিক্ষাবিদগন  শিক্ষার উন্নয়নে যে সব মতামত প্রদান করেন সেগুলো নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে, উক্ত কর্মশালায় বেশ কিছু প্রাকটিজিং শিক্ষক থাকার প্রয়োজন ছিল। কয়েকজন শিক্ষক ছিলন। বোধ করি তারা সরকারী স্কুলের শিক্ষক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষকগন এসব সভা, সেমিনার বা কর্মশালায় আসার সুযোগ পাননা।

এ বিষয়টি আমি যতবার শিক্ষা সংক্রান্ত কোন সভা সেমিনারে গিয়েছি লক্ষ্য করেছি। সরকারী, বেসরকারী, নতুন, পুরতান, গ্রাম ও শহরের বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন সেখানে উপস্থিত থাকলে এবং তাদেরকে অভয় দিয়ে তাদের নিজস্ত মতামত, অভিজ্ঞতা, চিন্তা  ও সাজেশন বলার কাজটি করলে আরও ভাল হতো। একইভাবে, গ্রাম শহবেরর বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থী এবং যেসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাস করে কলেজে পড়ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাদের একটি সংখ্যা সেখানে থাকা উচিত ছিল। শুধু প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ নয়, শিক্ষা নিয়ে যারা বর্তমানে গবেষণা করেন সে ধরনের শিক্ষা গবেষকদের উপস্থিত থাকার প্রয়েজান ছিল তা না হলে মূল সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী সমাধান বের করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক উচুঁমাপের ব্যক্তিত্ব, তাঁর চিন্তা, গবেষণা ও মতামত সাধারনত অনেক উচুঁ স্তরের হয়ে থাকে।  বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষার অত গভীরে তাঁর প্রবেশ করতে পারার কথা নয়।

এসএস সি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করে বিদ্যালয়ে নিচু শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে সেগুলো পড়ানোর সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদগন।তবে, কবে থেকে তা কার্যকার করা হবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় এখনও স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি অর্থাৎ কিছুটা ধোঁয়াশা থেকেই গেছে। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী বলছেন বিষয়গুলোর গুরুত্ব আমরা কমাচিছনা , পরীক্ষার সময় কমিয়ে নিয়ে আনতে এ বিষয়গুলোকে অন্য পদ্ধতিতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।পাবলিক পরীক্ষার রুটিনের মধ্যে না রেখে বিয়ষটি চিন্তা করা হচেছ। ২০১৯ সাল থেকে সকল বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ কারন বোর্ড প্রশ্নের ভিন্নতার কারনে এক বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষার ফল অন্য বোর্ড থেকে আলাদা হয়ে থাকে অথচ সকল শিক্ষার্থীরা দেশের একই ধরনের উচচতর শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানে যখন ভর্তি হতে আসে তখন ফল ভিন্নতার কারনে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয় কারণ এসএসসির ফলের ওপর একটি নম্বর বরাদ্দ থাকে। তবে, প্রশ্ন যদি ফাঁস হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে অভিন্ন  প্রশ্ন করা হলে এবং ভর্তি ও চাকরির ক্ষেত্রে এক মারাত্মক অসমতার সৃষ্টি হয়। এজন্য অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হলে খুব ভাল তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধকরন কাজটি করতে হবে আরও  সুচতুর ও সতর্কতার সাথে।

স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার জন্য ’ কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ’ অন্তর্ভুক্ত করা, বছরের একটি দিনকে বইপড়া দিবস হিসেবে পালন করা। এটিও চমৎকার প্রস্তাব। এটিকে যে কোন মূল্যে বাস্তবায়ন করা উচিত। এ বিষয়ে সরকার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিটিসমূহের জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত। আমাদের পূর্ববর্তী যেসব সিনিয়র ভাইয়েরা ছিলেন এবং আমাদের সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজের পাঠাগার থেকে নিয়মিত বই লেন-দেন করতেন যে ট্রাডিশন এখন আর নেই। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির অধীনে পরিচালিত হয় তিন হাজার লাইব্রেরি যেগুলো গ্রামীণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত । কাজের অংশ হিসেবে মোটামুটি নিয়মিত সেগুলো ভিজিট করি, দেখলাম   শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে কারন তারা বেশি ব্যস্ত পাঠ্যবই নিয়ে। শুধু পাঠ্যবই পড়লে যে, তাদের জ্ঞানের বিস্তৃতি ঘটেনা সে বিষয়টি এখন আর কেউ ভেবে দেখেনা। ব্র্যাক গণকেন্দ্রে  শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ’ ুবক সার্কেলের’ মাধ্যমে বই পড়ার সুযোগ পায়। এ পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী হয়তো দুটো তিনটি বই পড়ে যেসগুলো সে একটি বিশেষ দিনে অন্যদের সাথে শেয়ার করে। এভাবে একটি গ্রুপে ৫-৬জন সদস্য থাকলে ১০-১৫টি বই সম্পর্কে অবহিত হওয়া  যায়। বর্তমান সিলেবাস ও পরীক্ষা , গ্রেডিং পাওয়ার আকাঙ্খা শিক্ষার্থীদের অন্য বই পড়ার সুযোগ কুঞ্চিত করে ফেলেছে ফলে তারা সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠছে না।

পাঠদানে শিক্ষকদের সহায়তায় উপযুক্ত ’ শিক্ষক গাইডলাইন’ যথাসময়ে প্রণয়ন ও মানোন্নন করা, এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্নের মানোন্নয়নে আইটেম ব্যাংক ( প্রশ্ন ব্যাংক) তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের উত্তর লেখায় সহযোগিতা করতে প্রশ্নের সঙ্গে নমুনা কিছু উত্তর যাচাই বাছাই করে সরবরাহ করার কথাও শিক্ষাবিদগন  বলেছেন। যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রাথমিকভাবে যে প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আইটেম ব্যাংক প্রণয়নে ধারণাপত্র তৈরি করা, সব শিক্ষককে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মুল্যায়ণে আবশ্যিকভাবে সম্পৃক্ত করা।’ প্রশ্ন ব্যাংক’ বা ’আইটেম ব্যাংক’ নিয়ে একটি ঝামেলা হতে পারে। এমসিকিউ চালু হওয়ার পর ৫০০ প্রশ্ন নিয়ে ’প্রশ্ন ব্যাংক’ তৈরি হয়েছিল। তখন শিক্ষার্থীরা সব টেকস্ট পড়া বাদ দিয়ে ঐ প্রশ্নব্যাংকের দিকে ছুটত। শিক্ষকগনও নিজেরা প্রশ্ন না করে করে প্রশ্ন করা ভুলে গিয়েছিলেন কারন সব এমসিকিউ প্রশ্ন আসতো ঐ নির্ধারিত ৫০০ প্রশ্ন থেকে। বহু আলোচনা, লেখিলেখির পর সেই ব্যাংক আমরা বিদায় করেছি।  আবার সেদিকে যাচিছনা তো কারন বিষয়টি কিন্তু স্পষ্ট করে বলা হয়নি?

বিশ্বে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন করতে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের ’ স্কোর’-এর পরিবর্তে ’ স্ট্যান্ডারাইজড স্কোর’ ব্যবহার করে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে একটি পরীক্ষামূলক ফল তৈরি করার কথা বলেছেন শিক্ষাবিদগন। বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট( বিউডিইউ) একটি পরীক্ষামূলক ফলাফল তৈরি করবে। তবে, এ ফলাফল ওই বছরের ফলে কোন প্রভাব ফেলবে না।  বিষয়টি একাধিকবার নয় বহুবার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার ও ব্যখ্যা করতে হবে যাতে সংশ্লিষ্ট সবাই স্পষ্টভাবে জানতে পারে। এক দুবার প্রচার করলে তা অনেকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে, ফলে ’ স্ট্যান্ডারাইজড স্কোর’ চালু করার পর  সৃজনশীলের মতোই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা নামে একটি বিষয় থাকলে আলাদাভাবে ’ শারীরিক শিক্ষা’ নামক বিষয়ের প্রয়োজন পড়েনা। শারীরিক শিক্ষার যে জ্ঞান মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রদান করা দরকার তা স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মধ্যেই তো সংযুক্ত করে রাখা যায়। ’ তথ্যপ্রযুক্তি যেখানে একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে পাঠ্য করা হয়েছে, সেখানে আলাদাভাবে ’ ক্যারিয়ার শিক্ষা’ একটি বিষয় করার দরকার হয়না। সবচেয়ে বড় কথা হচেছ, যে শিক্ষা মানুষের মানবিকতাকে জাগ্রত করে সে শিক্ষা সব মানুষের জন্যই কাম্য।মানুষ আজ অন্ন, বস্ত্র, উন্নতমানের বাসস্থান তৈরির জন্য অধিক মুনাফার পেছনে ছুটছে।মানবিকতার উন্নয়নের জন্য কারও খুব একটা আগ্রহ নেই। জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চরম উন্নতি সাধিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু  মানুষের চরিত্রগত উন্নয়ন খুব একটি ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে একজন শিক্ষার্থীকে চরম ভদ্র, মানুষের মতো মানুষ হওয়ার কথা। অথচ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেকেই যেন সবাই বেশি ভয় পায়।তার কাছে পিস্তল আছে। সে যে কোন সময় একজন মানুষ হত্যা করতে পারে যা একজন সাধারন মানুষ করবে না। সর্বোচচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে একজন ইঞ্জিনিয়ার হচেছ এবং দেদারছে ঘুষ নিচেছ। একজন ডাক্তার হচেছ কিন্তু মানবিকতা শিখছে না । তিনি শিখে আসেননি  কিভাবে একজন রোগীর সাথে , রোগীর অ্যাটেন্ড্যান্টদের সাথে কথা বলতে হয় ।শুধু অর্থের পেছনে হাঁটছেন ও দৌড়াচেছন। এই পরিবর্তনগুলো কিভাবে আনা যায় সেটিকে কিন্তু দৃষ্টি অবশ্যই দিতে হবে।

মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু পাঠ্য বিষয় কমানোর সিদ্ধান্তকে যেমন যৌক্তিক বলে ধরা যায়, তেমনি নীতিবিদ্যা বা নীতিশিক্ষা নামে একটি আবশ্যিক বিষয়কে পাঠ্য করার যৌক্তিকতাকেও অগ্রাহ্য করা উচিত নয় । সময়ের প্রয়োজনে পাঠ্যবিষয়ে পরিবর্তন আনা অযৌক্তিক নয়। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের কারিকুলামে উল্লেখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেন অর্জিত হয় সেই আলোকে এসব পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হবে।

নবম-দশম শ্রেণির নির্বাচিত কয়েকটি পাঠ্যবই পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করতে শিক্ষাবিদ ও লেখকদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা আলোচিত হয়েছে কক্্রবাজারের কর্মশালায়। এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শ্রেণি শিক্ষকদের অন্তভূক্ত করা। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের জন্য ’ টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান ’ তৈরি করা-যাতে ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারীর আগেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো নিশ্চিত হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হিসেবে বাজেট পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়ানো।
পাবলিক পরীক্ষা ও শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা- এ চারটি বিষয় বাদে অন্য বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে কবে থেকে এসব বিষয় এসএসসি থেকে বাদ যেতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাননি শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী জানান পাবিলক পরীক্ষায় বিষয়গুলো অন্তর্ভণক্ত না করে বিদ্যালয় পর্যন্ত সম্পূর্নভাবে বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়ণের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। বিষয়গুলো যাতে স্কুল পর্যায়ে ভালভাবে পড়ানো হয় এবং শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সে জন্য কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, পাবলিক পরীক্ষা যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকেনা সেসব বিষয়ে বিদ্যালয়, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কেউই গুরুত্ব প্রদান করেনা।সেটি কিভাবে করা যায় তা গভীরভাবে আমাদের ভাবতে হবে।

মাছুম বিল্লাহ: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, বর্তমানে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0080668926239014