শেরপুরের শ্রীবরদীতে আলিম স্তরের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী সংকটের আশংকায় পড়েছে উপজেলার সাতটি প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও মুজাব্বিদ শাখায় শিক্ষার্থী সংকট চরমে।
গতকাল ৯ই মে মঙ্গলবার থেকে এসএমএস ও অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করানোর জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও তদবির। প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর স্বার্থেই এই তৎপরতা বলে জানান অনেকেই।
উপজেলার সাতটি আলিম স্তরের প্রতিষ্ঠানে তিনটি শাখায় (সাধারণ, বিজ্ঞান ও মুজাব্বিদ) বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন রয়েছে ১ হাজার তিনশো। এর মধ্যে শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল ও ফতেহপুর ফাযিল মাদ্রাসায় উল্লেখিত তিনটি শাখা এবং কাকিলাকুড়া ফাযিল মাদ্রাসায় সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা ছাড়া বাকী চারটি প্রতিষ্ঠানে শুধু সাধারণ শাখা রয়েছে। একমাত্র শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় সাধারণ শাখায় আসন রয়েছে দুইশ। এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি শাখায় একশ করে আসন রয়েছে।
উপজেলায় বাইশটি মাদ্রাসা থেকে এবার (২০১৭) দাখিল পরীক্ষায় সাধারণ শাখা থেকে তিনশ ছেষট্টি জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ঊনত্রিশ জন ও মুজাব্বিদ শাখা থেকে চার জনসহ মোট পাশ করেছে তিনশ নিরানব্বই জন। এর মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সাধারণ কলেজ, কারিগরি কলেজ ও উপজেলার বাইরের মাদ্রাসাগুলোতে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বলে জানান বিভিন্ন মাদ্রাসা’র প্রিন্সিপাল ও প্রভাষকরা।
তথ্য মতে, বিজ্ঞান ও মুজাব্বিদ শাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে আসন রয়েছে তিনশ ও দুইশ। এর বিপরীতে শিক্ষার্থী পাশ করছে যথাক্রমে ঊনত্রিশ ও চার জন। সম বিভাজন করলে প্রতিটি শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হবে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬৬ ও ২ দশমিক ০০ শতাংশ। সকলেই ভর্তির আবেদন ও পরবর্তীতে ভর্তি হবে তার নিশ্চয়তাও নেই। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শাখার শিক্ষার্থীর অনুপাতও সন্তোষজনক নয়। এভাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পাশের হার হ্রাস পেতে থাকলে সরকারের শর্ত মোতাবেক মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হওয়ার আশংকা করেন কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিন্সিপাল-প্রভাষকরা।
দাখিল পরীক্ষায় (২০১৭) উপজেলার একমাত্র শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পাঁচশ আটাত্তর জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে তিনশ নিরানব্বই জন যা শতকরা হিসেবে ৬৯ দশমিক ০৩ শতাংশ । গত বছর (২০১৬) এই হার ছিল ৮৫ দশমিক ০০ শতাংশ।