বরগুনার বেতাগী উপজেলায় স্বামীকে আটকে রেখে শ্রেণিকক্ষে এক শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেতাগী থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরণ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৫), আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৪), আব্দুল কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী (৩০), সুলতান হোসেনের ছেলে রবিউল (১৮), আব্দুর রহমানের ছেলে হাসান (২৫) ও আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে জুয়েল (৩০)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেতাগী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকা ও তার স্বামী স্কুলছুটির পর বিদ্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। এসময় তাদের দেখে আসামিরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। পরে ওই শিক্ষিকা ভয়ে স্কুলের দরজায় তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় আসামিরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামীকে মারপিট করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রেখে অপর একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি মো. মামুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা মামলা দায়ের করেছেন। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।