সনদে ভিন্ন ভিন্ন জন্মতারিখ নাম, তাতেই ৩৩ বছর পার - দৈনিকশিক্ষা

সনদে ভিন্ন ভিন্ন জন্মতারিখ নাম, তাতেই ৩৩ বছর পার

রংপুর প্রতিনিধি |

রংপুরের বদরগঞ্জের ওয়ারেছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি শিক্ষক কাজি আজহারুল ইসলামের দাখিল থেকে ফাজিল পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাসনদে নাম ও জন্মতারিখ একেক রকম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩৩ বছর ধরে ওই সব শিক্ষাসনদ দিয়ে মাদ্রাসায় এবং একই সঙ্গে নিকাহ নিবন্ধকের নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

এ ঘটনা তদন্তে গত বুধবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক প্রতিনিধি মোরশেদ আলমকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওয়ারেছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল আলীম বলেন, ‘শিক্ষক আজহারুল ইসলামের শিক্ষাসনদ এত ভুলে ভরা, তা জানতাম না। কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাঁর শিক্ষাসনদগুলো সঠিক কি না, এত ভুল কেন—এসব কমিটি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসায় জমা দেওয়া ওই শিক্ষকের শিক্ষাসনদসহ যাবতীয় কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, আজহারুল ইসলাম ১৯৮৪ সালের ১৬ জুন ফাজিল পাসের সনদ দিয়ে সহকারী মৌলভি শিক্ষক পদে ওই মাদ্রাসায় যোগ দেন।

তাঁর দাখিল পাসের সনদে নাম লেখা রয়েছে আবুল খায়ের মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জন্মতারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৭। আলিম সনদে নাম ঠিক থাকলেও জন্মতারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮। ফাজিল পাসের সনদে জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়নি, আর নাম মুহা. আজহারুল ইসলাম। এমপিও শিটে নাম রয়েছে মো. আজহারুল ইসলাম, জন্মতারিখ ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭। জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের জায়গায় লেখা এ কে এম আজহারুল ইসলাম। আর জন্মতারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৭। অন্যদিকে জন্মনিবন্ধন সনদে তাঁর নাম মো. আজাহারুল ইসলাম, জন্মতারিখ ১৫ মার্চ, ১৯৬৭।

বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষকের শিক্ষাজীবনের প্রতিটি সনদে এত ভুল তথ্য থাকায় তাঁকে চাকরিক্ষেত্রে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে ৩৩ বছর ধরে তিনি ব্যাংক থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক কাজি আজহারুল ইসলাম দাবি করেন, ‘শিক্ষাসনদগুলো বোর্ড থেকে সংশোধন করে এনেছি।’ কিন্তু তিনি সেসব সনদ প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু আমার কাগজপত্রে নয়, এই মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের কাগজপত্রেও অনেক ভুল আছে।’

বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ শোনার পর আমি ওই শিক্ষকের কাগজপত্র তলব করেছি। যাচাই-বাছাই করে বিধি মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061368942260742