শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বাস্তবায়নে সাতক্ষীরায় কোচিং বিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনা অঞ্চল শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কোচিং সেন্টারে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান টের পেয়ে এ সময় কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে পালিয়ে যান শিক্ষকরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক টিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মাউশির কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হাসান সোহরাওয়ার্দী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, গবেষণা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সহকারী পরিদর্শক শেখ হেদায়েত হোসেন প্রমুখ।
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কোচিংয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন জানান, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ পলিটেকনিক কলেজ, কালিগঞ্জ কাটুনিয়া রাজবাড়ি ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষককে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিজ স্কুলের ছাত্রছাত্রী পড়াতে পারবেন না। তারপরও অনেকে গোপনে নীতিমালা ভঙ্গ করছেন।
এদিকে অভিযান চলাকালে দেখা যায়, কোচিং সেন্টারগুলো সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীতে ভরপুর। অনেকেই স্কুলে না গিয়ে কোচিং করছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহ পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষককের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে সর্তক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।