আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা এবং ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারির মধ্যে তা কার্যকরের দাবি জানিয়েছে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা (দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) লিয়াজোঁ কমিটি।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা (দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) জাতীয়করণ লিয়াজোঁ কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করা হয়। এবার বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীন চিত্তে শিক্ষাদান, শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আপনাদের অনেক দিনের দাবি ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার বিষয়ে শিগগিরই একটি খবর পাবেন। শিক্ষা সচিব এ বিষয়ে একটি হিসেব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে আশা করি একটি সন্তোষজনক খবর পাওয়া যাবে।
কমিটির সভাপতি ড. মো: ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়েমের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. মো: আতিকুল ইসলাম পাঠান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অব:) ড. সাধন কুমার বিশ্বাস, ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ।
ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আমি আমার একটাই চাওয়া যে শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক চাওয়া পাওয়াগুলো পূরণ হোক। আর শিক্ষকরা তাদের উপযুক্ত মর্যাদা পাক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার গুণগত মান আরো বাড়াতে হলে অনতি বিলম্বে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা (দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) জাতীকরণ করতে হবে। একই সাথে আগামী একমাসের মধ্যে বৈশাখী ভাতা, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ভাতার সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রতিপাদ্য উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মো: আব্দুল জলিল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহ আলম, লিয়াজোঁ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো: জসিম উদ্দিন, মো: নুরুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার সাহা এবং রাজধানীর উত্তরার কাচকুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফরিদ উদ্দীন খানসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।