শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। কোন রকমের সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন পিছিয়ে না পরে সে লক্ষে সরকার কাজ করছে। আমাদের দেশে অটিজম ও এনডিডি ধারণাটির বহুল পরিচিতির পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশী তিনি হলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া যায় এ ধারণাটি তৈরি করেছেন তিনিই। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ অটিজম বিষয়ে সারাবিশ্বে পরিচিত ও নেতৃত্ব দিচ্ছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজের (নান্ড) অস্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজের (নান্ড) প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. দিদারুল আলম।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নান্ড যেন শুধুমাত্র অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় সীমাবদ্ধ না থেকে সারাদেশের শিক্ষকদের অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে অবদান রাখে সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন, নান্ড যেন সেন্টার ফর রিসার্চ, সেন্টার ফর কনটেন্ট ডেভেলপম্যান্ট হিসেবে গড়ে উঠে সে দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজের (নান্ড) উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে আছে, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাতীয় অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা, অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের একীভূত শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদ আবাসিক সুবিধা দেয়া, অটিজম ও এনডিডি শিশুদের পরিচয় ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া, এ ধরণের শিশুদের চাহিদা অনুসারে বিকল্প দক্ষতা যেমন নাচ, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো।