নড়াইলের লোহাগড়ার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা সদরে পোস্টার সাঁটানো ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাই সরদার, লক্ষ্মীপাশা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বি এম লিয়াকত হোসেন, লোহাগড়া পৌরসভার কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী ও পান্নু মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য বাবন শেখ, শিক্ষক লিটন রেজা, ছাত্রনেতা সাহেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২ বছরে অধ্যক্ষ অন্তত সাড়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। কলেজের ভর্তি, ফরম পূরণ, গাছ বিক্রি, ভুয়া বিল-ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। উন্নয়ন বরাদ্দ হতে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত করেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অধ্যক্ষ হিসেবে প্রশিক্ষণে গিয়ে সম্মানী পান। আবার কলেজ থেকে এ বাবদ যাতায়াত বিল তুলে নেন। এমপিওভুক্তির কাজে ঢাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে অফিস ব্যায়ের নামে এবং থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের খরচের নামে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নেন। আবার কলেজ হতে যাতায়াত বিল উত্তোলন করে নেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই স্বপন নামে একজন পিওন নিয়োগ দেয়া হয়। দুই বছর তাকে দিয়ে অধ্যক্ষ নড়াইল সদরে নিজের বাড়ির কাজে করান। গত দুই সপ্তাহ আগে থেকে ওই পিওন কলেজে কাজ করছেন। অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে অন্তত ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে তিনি বরখাস্ত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানি করেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা ছুটি চাইতে গেলেও তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তরফদার কামরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। অন্যান্য অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। অধ্যক্ষ দুজন পিওন ব্যক্তিগতভাবে রাখতে পারেন।