ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে ২০ শিক্ষক ও কর্মচারীদের সরকারিকরণের মূল কাগজপত্র গায়েব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
শনিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরির মূল কাগজপত্র, মার্কশিট, সার্টিফিকেট, রেজ্যুলেশন, যোগদানপত্র ও নিয়োগপত্র অধ্যক্ষ আবদুর রহিম গায়েব করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী সোমবারের (১৫ জুলাই) এর মধ্যে ডিজির কাছে সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদের কাগজপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। যাদের কাগজপত্র গায়েব করা হয়েছে তারা হলেন- সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক এমতিয়াজ হোসেন, নীলুফার বেগম, কায়সার আহমেদ, কায়ুম সিকদার, আবদুল হালিম, জাকির হোসেন, আবুল কাসেম, মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম তথ্য যাচাই কালে অধ্যক্ষ আবদুর রহিমের কাছে তার সংরক্ষিত বিভিন্ন রেজিস্টার, রেজ্যুলেশন ও কাগজপত্রে ফ্লুইড করা হয়েছে যাতে ভুল তথ্য সংযোজন করার আশঙ্কা রয়েছে এবং এই সময়ের পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন মর্মে ডকুমেন্ট পাওয়ায় অধ্যক্ষ আবদুর রহিম এবং তার স্ত্রী রত্না খানমের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ নয় বলে জানা যায়। কারণ এই বিষয়ে প্রথম তিনজন মেধা স্থান অধিকারীকে বাদ দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তাই অধ্যক্ষ আবদুর রহিম ও তার স্ত্রী রত্না খানম বাদে অন্যান্য সব অস্থায়ী পদ সৃজনের জন্য সুপারিশ করেন। বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সাগর বলেন, কিছুদিন আগেও আমি রেজ্যুলেশন বইটি দেখেছি।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আবদুর রহিম গায়েবের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজ্যুলেশনের দুটি বই খুঁজে পাচ্ছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমি এসব কাগজপত্র গায়েব করেছি তা ঠিক না।’ এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সভাপতি এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, রেজ্যুলেশনের বই খুঁজে পায় না সেটা আমি জানি না। তবে কিছুদিন আগে আমি নিজে রেজ্যুলেশন বই দেখে কলেজের সব শিক্ষকদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ ব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল সালাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর সরকরি কলেজের দুটি রেজ্যুলেশন বই খুঁজে পায় না সেটা আমাকে অধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেছেন।