শিক্ষকদের অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বার্থ পরিপন্থি বলে দাবি করেছে বিএনপি সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা। একই সাথে এ নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে তাঁরা। শুক্রাবার (১৬ মে) ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতি বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নয়ন-পদোন্নতি বিধিমালা, ২০১৯ ইউজিসি প্রস্তাবিত নীতিমালা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বার্থ পরিপন্থি এবং ১৯৭৩ এর আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই ঢাবি সাদা দল এ নীতিমালা প্রত্যাখান করছে।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা আরও বলেন, প্রস্তাবিত বিধিমালায় পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “অন্য কোন বিধিমালা, আদেশ, নির্দেশ, পরিপত্র ইত্যাদিতে যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই বিধিমালার বিধানসমূহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাইবে”। এর অর্থ হচ্ছে এই বিধিমালা “১৯৭৩ এর আদেশের” চেয়েও প্রাধান্য পাবে। উপরন্তু এই বিধিমালায় কি কি থাকছে বা না থাকছে সে ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির শেষ ধাপ এবং প্রান্তিক সুযোগ সুবিধার বিষয়ে একই বেতন স্কেলের অন্যান্যদের সাথে বর্তমানে বিশাল বৈষম্য বিদ্যমান। এ ব্যাপারেও প্রস্তাবিত বিধিমালায় কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
তাই প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখান করে এ ব্যাপারে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না করার জোর দাবি জানান বিএনপি সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষক নেতারা। একই সাথে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের জোর দাবি জানান তাঁরা।