বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আহ্বান জানিয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৯ অক্টোবর) আবরার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, হলে হলে নির্যাতন বন্ধ, হল প্রভোস্টকে অব্যাহতিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বুয়েটের আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সন্ধ্যায় বুয়েটসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোমবাতি জ্বালিয়ে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রকাশের একটি কমন প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে।নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনার রিভিউ করে দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ই অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
এর আগে, আবরার হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছে তার বিভাগ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকরা। এসময় তারা জানান, যে রাজনীতি শিক্ষার্থীদের উপকার না করে কেবল ক্ষতি করে, সেই রাজনীতির দরকার নেই।
সকালে প্রথমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সবমেত হয়ে তাদের ১০টি দাবি তুলে ধরেন গণমাধ্যমে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথমে শেরে বাংলা হলে, পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবারো শহীদ মিনারে সমবেত হন।
রোববার রাত ২টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি ঘর থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হলের শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবরারকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়। পরে, রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।