জামায়াত কানেকশনের পর এবার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা শিক্ষক আব্দুস সামাদের স্বাক্ষরে মিরপুর শাহআলী বাগদাদী (রহ) মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন তোলার জন্য চিঠি দিয়ে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্ততরের মহাপরিচালক মোঃ বিল্লাল হোসেন।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার মাদ্রাসা বরাবর ওই চিঠিটি আসে। অথচ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুস সামাদ বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ফাযিল-কামিল মাদ্রাসায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ব্যতিত অন্যকোন শিক্ষক অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে পারবেন না। মাদ্রাসাটির শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অন্তত আট মাস যাবত বেতন ব্যাংকে এসে আটকে আছে শুধুমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্ততরের মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তহীনতার অভাবে। উচ্চ আদালত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তার স্বাক্ষরে এবং মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোঃ মুজিব সরোয়ার মাসুমের প্রতিস্বাক্ষরে বেতন ভাতা উত্তোলনের নির্দেশ জারি করলেও তা মানতে নারাজ ডিজি। এতে করে মাদ্রাসায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসাটির সভাপতিও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পত্রিকায় ‘জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বেয়াই এবং বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার আসামী কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্ততরের ‘মহাপরিচালকের রহস্যজনক গোপন বৈঠক’ মাদ্রাসায় জামায়াত-শিবির জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে তোলার নেপথ্যে মদদ দেয়াসহ নানা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই তোলপাড় চলছে। শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ ও যুগ্ম-সচিব মোঃ এনামুল হকের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্ততরের বহু কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, হযরত শাহআলী বাগদাদী (রাহ) ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহ, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জেহাদী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসীনের মহাসচিব মাওলানা সাব্বির আহমেদ মোমতাজীসহ অনেকেরই সাক্ষ্য নেন। প্রত্যেকের ডিজির নানা অনিয়ম তুলে ধরে তার অপসারণ দাবি করেন।
সূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ