ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে অভয়নগর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে একটানা রাত ১টা পর্যন্ড চলা আম্ফানের প্রভাবে উপজেলার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শনিবার (২৩মে) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে ৪টি কলেজ, ১০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, ৪টি মাদরাসা ও ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কলেজগুলো হলো, ভবদহ কলেজ, নওয়াপাড়া মডেল ডিগ্রি কলেজ, পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ ও পল্লী মঙ্গল আদর্শ কলেজ।
মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো হলো, ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলহেলাল ইসলামি একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বর্ণী বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধুলগ্রাম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্বাচল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্দিপাশা ইন্সটিটিউশন, সিংগাড়ী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সুন্দলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।
মাদরাসাগুলো হলো, নওয়াপাড়া হিজবুল্লাহ দাখিল মাদরাসা, পাথালিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, চাঁপাতলা চেঙ্গুটিয়া আলিম মাদরাসা ও মথুরাপুর দাখিল মাদরাসা। ক্ষতিগ্রস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি হলো, বেদভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামতের জন্য জরুরিভিত্তিতে গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি ও ঢেউটিন বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আম্ফানের কারণে উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। যে কারণে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ কিছু ছোট-বড় গাছ-গাছালির ক্ষতি হয়েছে। ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।