বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ভূবন চন্দ্র হাওলদার জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩০ কার্যদিবসে এ মামলার ৭৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। গোলাম সরোয়ার নামে একজন সাক্ষী প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে বরগুনার জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়া, আদালতে হাজির হন উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
এছাড়া, এই মামলার আসামি নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেনের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মিন্নির আইনজীবী সময় প্রার্থনা করায় তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি তারিখ পিছিয়ে দেন আদালত।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী, নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিন্নিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে পুলিশ। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া, নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের আদেশে এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা রয়েছেন কারাগারে।