হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর মরদেহ জানাজা ও দাফনের জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় নেয়া হয়েছে। তার জানাজাকে ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের চার উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার ভোর চারটার দিকে শফীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়। তার অনুসারীদের এক পক্ষ, ঢাকায় তার জানাজা পড়ার দাবি করেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জানাজা ও দাফন হবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায়। পরে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তার মরদেহ রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদ মাদরাসার মাঠে নেয়া হয়। সেখানে হাজারো অনুসারীরা শেষবারের মতো তাকে শ্রদ্ধা জানান।
সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শফীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এদিকে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে সাত ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে বিজিবি।
জানা যায়, হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শফী। রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে,অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে বিকেলে তাকে আজগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চমেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সকালে সাংবাদিকদের বলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার অক্সিজেন ও হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একই সাথে ফুসফুসে পানি জমেছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১০৪ বছর বয়সে আহমদ শফীর শরীরে বাসা বেঁধেছিল নানা রোগ। ডায়াবেটিকস,উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ফলে প্রায় ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। গত কয়েক মাসে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিলে একাধিক বার চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।