পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে শিক্ষকদের কাছ থেকে ৮৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নম্বরটি ক্লোন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে একটি প্রতারক চক্র। তাই এ ব্যাপারে সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সচেতনতা সৃষ্টিতে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজেও পোস্ট দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি ক্লোন করা হয়। ক্লোন করা নম্বর দিয়ে একটি প্রতারক চক্র কাউখালী নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাহমুদুল হাছানের কাছে ফোন দিয়ে ল্যাপটপ দেবার কথা বলে। এভাবে ৮৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তাদের ফাঁদে পড়ে বিকাশে পাঠিয়ে প্রতারিতও হয়েছেন শিক্ষকরা।
ইউএনও আরও বলেন, ‘নম্বরটি ক্লোনের পর সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ফেসবুক আইডিসহ ইউএনও, কাউখালী, পিরোজপুর পেজেও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে কাউখালী নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাহমুদুল হাছান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ইউএনও স্যারের পরিচয় দিয়ে আমার কাছে জানতে চান আমার প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ আছে কিনা, তখন আমি বলি ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে। তখন আমাকে বলা হয়, এখন আপনারা ল্যাপটপ নিলে ৮ হাজার টাকা অফিস খরচ দিতে হবে এবং যারা এ খরচ দিবেন তারা সকলে টাকা পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিসে এসে দেখা করবেন। আমি বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দফায় ১১ জনের ৮৮ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারের কাছে দেখা করতে গেলে বুঝতে পারি যে আমি প্রতারক চক্র কবলে পড়েছিলাম।’