ইতালিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে পরিচিত মিলানে গতকাল সোমবার একজন বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট দুই জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন পলাশ রহমান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ছাড়া ইতালিতে বসবাসকারী আরও একজন বাংলাদেশি অভিবাসী ইংল্যান্ডে গিয়ে মারা গেছেন।
ইতালিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য মিলানের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইমেইলে যোগাযোগ করেছিলাম। উত্তরে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন করার পরামর্শ দিয়েছে।’ ‘ফেসবুকে অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে’ উল্লেখ করে তারা বলেছে, ‘প্রতিদিনই তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিডিয়ায় কথা বলতে বা তথ্য সরবরাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।’
ইতালিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়লেও গতকাল কিছুটা কমতে দেখা গেছে। স্থানীয় গবেষকরা ধারণা করছেন, দেশজুড়ে চলমান হোম কোয়ারেন্টিন অবস্থা আরও কিছু দিন বাড়ানো হলে এর সুফল আসবে। নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন কমতে থাকবে।
সরকার আরও দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনের সময় বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি নাগরিকদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে অধিক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গতকাল একদিনে অন্তত আড়াই হাজার পথচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যারা কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই ঘোরাফেরা করছিলেন।
ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত যোগান নেই।
সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলেরি জানান, এখন থেকে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন, তাদের সুরতহাল করা হবে না। ইতালি প্রাথমিকভাবে পাঁচটি করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইতালিতে করোনায় এখন পর্যন্ত দুজন বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেলেও কমিউনিটিতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও অনেক খবর ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে একশ ছাড়িয়েছে। সঠিক তথ্যের অভাবে এসব নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে ও মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে।