ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নির্বাচনী মৌসুম। একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। তাই নির্বাচনী সভা, প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এই ব্যস্ততার প্রভাব পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাজে। বিভাগগুলোতে রুটিনমাফিক ক্লাস হচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়াও দপ্তরগুলোতে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী নির্বাচন-২০২০ আগামী রোববার। এতে আওয়ামী ও প্রগতিশীল শিক্ষকরা দুটি পূর্ণ প্যানেল এবং জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকরা একটি পূর্ণ প্যানেলে অংশগ্রহণ করছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি এবং সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন দুজন শিক্ষক।
শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত রোববার আলাদাভাবে সাধারণ সভা করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ ও জামায়াতপন্থি শিক্ষক সংগঠন গ্রিন ফোরাম। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক দিন পার করেছেন সভায়। ফলে ক্লাস হয়নি অধিকাংশ বিভাগে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের রুটিন ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও সভা ও প্রচার-প্রচারণা করতে দেখা গেছে।
এদিকে সহায়ক কর্মচারী সমিতির নির্বাচনও শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামাতপন্থি কর্মচারীরা এক হয়ে দুটি আলাদা প্যানেল ঘোষণা করেছেন। আর কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তিনটি আলাদা প্যানেল ঘোষণা করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রুটিনমাফিক ক্লাস হচ্ছে না অনেক বিভাগে। অফিসে পাওয়া যাচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
দাওয়া অ্যন্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহজালাল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘সম্প্রতি পরীক্ষানিয়ন্ত্রক দপ্তরে গিয়ে দেখি অফিসাররা কর্মস্থলে নেই। মোবাইলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানান, নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছেন। একজন শিক্ষক-কর্মকর্তার মূল কাজ কি কাজে ফাঁকি দিয়ে নির্বাচন করা—এটি আমার বোধগম্য নয়।’
শিক্ষক সমিতির এক প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আনোয়ারুল হক স্বপন বলেন, ‘শিক্ষক-সমিতির নির্বাচনের কোনো প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে না। ক্লাস-পরীক্ষার কথা মাথায় রেখেই আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।’
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রার্থী শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘আমাদের সবাই অফিস করছেন। প্রার্থীরাও নির্বাচনী প্রচারণার ফাঁকে ফাঁকে অফিস করছেন। আশা করছি, এতে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’