এমপিওভুক্ত হাই স্কুলের ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকরা মাদরাসা প্রধানের পদে নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ বিষয়ে আবেদনও করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা গণনা করে হাই স্কুলের ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত মাদরাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট, সুপারিনটেনডেন্ট ও প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগের সুযোগ না দিলে বৈষম্য করা হবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়া সুযোগ নেই। অপরদিকে, দাখিল ও আলিম মাদরাসার শিক্ষকরা একই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সহসুপার, সুপার, প্রিন্সিপাল নিয়োগের সুযোগ পান। হাই স্কুলের ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকদের একই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সারা জীবন একই পদে থাকতে হচ্ছে।
একদিকে, ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকদের হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরদিকে, একই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও মাদরাসায় প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই তাদের। এই বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে শিক্ষকের একটি অংশ তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হবেন।
পরিপত্রের বিধিমোতাবেক এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকদের উচ্চতর পদে আবেদন ও নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে অনুমিত হয়। কিন্তু বিধির মাদরাসা অংশের অভিজ্ঞতাতে রয়েছে মাদরাসার সুপার হওয়ার জন্য ১২ বছর ও সহকারী সুপার হওয়ার জন্য ১০ বছরের দাখিল স্তরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যার ফলে ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষকদের আবেদন করার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিধি অনুযায়ী মাদরাসার অভিজ্ঞতা দিয়ে যদি জুনিয়র স্কুল বা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়া যায়, তবে কেন একই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক স্কুলের ইসলাম শিক্ষার শিক্ষকরা সহকারী সুপার বা সুপার হতে পারবেন না? তাই পরিপত্রের ১১ (২৩) বিধির মতো ইসলাম শিক্ষার শিক্ষকদেরও অভিজ্ঞতার আলোকে মাদরাসায় সহকারী সুপার বা সুপার হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়, সদর, সুনামগঞ্জ।