মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি ড. মো. আব্দুস শহীদকে হত্যার পরিকল্পনা বিষয়ে একটি চিঠিকে ঘিরে তোলপাড় চলছে এলাকায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ‘উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। হিজামা থেরাপি অ্যান্ড রুকিয়াহ সেন্টার কুসুমবাগ, মৌলভীবাজার, এস এ পরিবহণের পূর্ব পাশে দোতলা থেকে তা পরিচালনা করা হচ্ছে।
ষড়যন্ত্রকারী আই এস মৌলভীবাজার জেলার পরিচালক তাজুল ইসলাম লুলু, গ্রাম: দরগাপুর, পো: বৃন্দাবনপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার। চিঠিতে প্রেরকের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে জনৈক সুজন মিয়া কদমতলী সিলেট। ওই চিঠি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি’র মিশন রোড, শ্রীমঙ্গল-এর বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে আসে। চিঠিটি সিলেট পোস্ট অফিস থেকে শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়।
এমপির পি এ ইমাম হোসেন সোহেল বলেন, শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে এমপি স্যার শ্রীমঙ্গলের বাসায় আসেন। অন্যান্য দিনের মতো এমপি স্যারের কাছে আসা বিভিন্ন চিঠিপত্র ওইদিন সন্ধ্যার পর খোলা হয়। অন্যান্য চিঠির সঙ্গে ওই চিঠিটিও খোলা হয়। চিঠির লেখা পড়ে বিষয়টি আমি স্যারকে জানাই। স্যার তখন একটি মিটিংয়ে ছিলেন। সেখানে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে ইউএনও নজরুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মো. শাহিদুল আলম, সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামানসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানান।
চিঠির বিষয়ে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ডাকযোগে একটি চিঠি শুক্রবার হাতে পেয়েছি। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আমার খোঁজখবর নিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, কারা এই হুমকি দিয়েছে কেন দিয়েছে সেটা আমি জানি না। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক বলেন, চিঠির বিষয়ে আমরা জেনেছি। এরপর থেকে আমরা তার নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তদন্ত চলছে। চিঠিতে উল্লেখ করা নামের ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
এদিকে একই ধরনের একটি চিঠি কমলগঞ্জ থানায়ও পাঠানো হয়েছে বলে গতরাতে নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, দুটি চিঠিকেই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কারা জড়িত।