বিশ্বে মোট দেশের সংখ্যা ১৯৩। আর এরমধ্যে কমপক্ষে ১৫০টি দেশে গণপরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। নিজেদের বাঁচানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে দেশগুলি। জোর দেয়া হচ্ছে লকডাউনের মাধ্যমে ঘরে-বাইরে মানুষের উপস্থিতির হার কমানোতে। পরীক্ষা চলছে আরও কার্যকরী কৌশলের উপরও। মারণ-ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তাবত বড় বড় দেশগুলি, তখন করোনা-মুক্ত জীবন কাটাচ্ছেন মাত্র ১৮টি দেশের মানুষ। বিবিসি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের এই ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাস পৌঁছনোর আশঙ্কা প্রায় নেই বলেই চলে।
করোনা মহামারির শুরু যে চীন থেকে সেই চীনের পড়শি উত্তর কোরিয়াতে এখনও তেমনভাবে করোনার কথা শোনা যাচ্ছে না । যদিও এই দেশ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবু সরকারিভাবে করোনা-মুক্তই রয়েছে কিম জং উনের দেশ।
একইভাবে মারণ-ভাইরাস পৌঁছতে পারেনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনেও। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপ বা দেশে ভাইরাসের কুনজর পড়েনি। এই তালিকায় রয়েছে পর্যটনে পিছিয়ে বিশ্বের প্রথম দশ দেশের মধ্যে সাতটি দেশই। যেমন- নাউরু, কিরিবাতি, টুভালুর মতো দেশ। এরমধ্যে একাধিক দেশের জনসংখ্যা ১০ হাজারেরও কম। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর অবস্থিত কিরিবাতি দ্বীপে বছরে মাত্র ১৬০ জন পর্যটক যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অভ্যাসই এই দেশগুলিকে করোনা-মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।
করোনা প্রভাব না পড়লেও সাবধানতা অবলম্বন করে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছ নাউরুর মতো দেশ। জরুরি অবস্থা জারি করেছে টোঙ্গা, ভানাউতুর মতো ছোট দেশগুলিও।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই লাফিয়ে বাড়ছে। এই মুহূর্তে ১০ লাখের বেশি মানুষ মারণ-ভাইরাসে আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই।