বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮২ জনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) চেয়ারম্যান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাদসারা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
পরে অ্যাডভোকেট জি এম শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের পরিপত্রে চাকরিতে প্রবেশের কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা ছিল না। কিন্তু ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জারি করা জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হয়।
ওই সংশোধনীর ১১(৬) ধারায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে জারি হওয়া নতুন ওই নীতিমালার কারণে পূর্বে উত্তীর্ণ সনদধারীরা তাদের নিয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েন।
তাদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার মোট ৮২ জন গত জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের বয়স নির্ধারণী জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং রুল জারির আর্জি জানানো হয়।