চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেন এনটিআরসিএ। প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদা যদি ডিও ও ডিডি বা ডিজি স্যারদের কাছ থেকে নেওয়া হতো তাহলে একটি ফাইলও রিজেক্ট হতো না। সোমবার (১০ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন রাহাত কবির।
আর আমরা এই এমপিও ফাইল রিজেক্ট হওয়ার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতাম। এনটিআরসিএ নিয়োগের সুপারিশ করে মূল কাগজপত্র ভাইভার মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক করেন। আর এমপিও দেয় মাউশি একগাদা কাগজের জটলা করে। এদিকে মেধাবী শিক্ষকরা মাসের পর মাস বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। এটা কোন নিয়ম? তারপর ১২৫০০ টাকা বেতনে আমি এনটিআরসিএ-র সুপারিশে প্রত্যন্ত অঞ্চল রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলা থেকে বরিশালে চাকরি ৬ মাস করেও এমপিও পাইনি, বরং থাকা-খাওয়ায় ৬০,০০০ টাকা গেছে।
কাকে বলব এই কষ্টের কথা? আর এদিকে যেসব নব নিযুক্ত শিক্ষকের এমপিও ফাইল রিজেক্ট হচ্ছে, তার জন্য দায়ী কারা? আবার সরকারিভাবে নিয়োগ পেয়েও এসব শিক্ষক বকেয়া বেতন পাবেন না। পরিশেষে, এসব শিক্ষককে বকেয়া বেতন দেওয়াসহ এমপিওভুক্তির জটিলতা মুক্ত করা হোক।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, ঢাকা