১৯ বছর ধরে বেতনের সরকারি অংশ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের আলীপুর দাখিল মাদরাসার ১৭ শিক্ষক-কর্মচারী। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আশা ছিল নতুন তালিকায় এমপিওভুক্তি হবে। কিন্তু সেই তালিকায় প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় হতাশ ১৭ শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার।
জানা গেছে, ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে আহম্মেদপুর-বড়াইগ্রাম সড়ক সংলগ্ন আলীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদরাসাটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সকালে ফোরকানীয়া পাঠদান হতো। পরে ইবতেদায়ি খুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে মাদরাসায় ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ২৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছরই সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছে।
আলীপুর দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ আমরা ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা বেতনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি। আর কতদিন এভাবে বিনা বেতনে পাঠদান করাবো। আমাদের সংসার তো আর চলে না। ভেবেই পাচ্ছি না এখন আমরা কি করবো। আমরা প্রতিষ্ঠানটিতে বিনা বেতনে পাঠদান করাচ্ছি।
গুরুদাসপুুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, আলীপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা বিনা বেতনে সরকারের সকল নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন। প্রতিবছরই সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম মিয়া বলেন, এ বছরেও আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। আশা করবো আগামী তালিকায় অবশ্যই এই মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করা হবে।