দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৫-২০ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে এমপিওভুক্তির পর ৩ বছর সময় প্রদান। এসময়কালে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ। এই প্রস্তাবের আলোকে সারাদেশের সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে যাতে এমপিওভুক্ত হয় তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বঞ্চিত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা চির কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ হবে।
এদিকে রোববার (১ জুলঅই) ৭ম দিনের মত জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।শুক্রবার রাত পর্যন্ত অনশনে ১২৮ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ শিক্ষককে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে অনশন স্থলে কথা হয়,রংপুর জেলার বদরগঞ্জের খামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো: লাবলু মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি দৈনিকশিক্ষা ডটকমের এ প্রতিবেদকের কাছে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে বলেন, ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় আছেন। কোনো বেতনকড়ি পান না। সংসার চালাত অভাবের তাড়নায় তিনি রাতে ভ্যান চালান। বৃদ্ধ মা,স্ত্রী ও সন্তানসহ ৫ জনের ভরণ পোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।লাবলু মণ্ডল বলেন,এখন যেভাবে বেঁচে আছি, এর থেকে মরে যাওয়া ভাল। ঢাকার রাস্তায় যখন এসেছি। এমপিওর দাবি পূরণ না হলে আর জীবিত ঘরে ফিরতে চাই না। এরপর আবার হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন ননএমপিও এ শিক্ষক।
বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।